তত্ত্ব আকারে ‘নারীবাদ’ অত্যন্ত আধুনিক একটি ধারণা হলেও সমতার জন্য নারীর সংগ্রামটি নারী-পুরুষের বৈষম্যের সমবয়সী। সাহিত্যের আর সব শাখার মতো নাটকেও এর অজস্র নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে ইউরিপিডিসের লেখা মেডিয়া নাটকে অধিকারবঞ্চিত নারীর যন্ত্রণা ও প্রতিঘাতের দৃশ্য যেমন মিলবে, তেমনই বিংশ শতাব্দীতে রচিত নাটক রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকেও ভিন্ন রূপে পাওয়া যাবে নারীর দৈনন্দিন জীবনের বঞ্চনার সাক্ষাৎ।
বিশ্বসাহিত্যের সাতটি প্রধান নাটক এখানে দুই মলাটের ভেতর সংকলিত আছে। এর নাট্যকাররা তাঁদের কালের সীমাকে অতিক্রম করেছেন, নাটকগুলোর অধিকাংশও ইতিমধ্যেই ধ্রুপদী অভিধায় ভূষিত হয়েছে। পরিবার, প্রেম, যৌনতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতি—সকল কিছুরই নতুন মর্মার্থ ও তাৎপর্য আমাদের সামনে হাজির করেছে এ সাতটি নাটকের নারী চরিত্রগুলো, তাঁরা হয়ে উঠেছেন সমষ্টির কণ্ঠ। বিশ্বসাহিত্যের সাতটি নারীবাদী নাটক-এর বিষয়বস্তুগুলো তাই আমাদের খুবই পরিচিত হলেও সেগুলোরই গভীরতর এবং ভিন্নতর একটি পাঠ আবহমানকালের দর্শক ও পাঠকের সামনে হাজির করেছে এই নাটকগুলো।
আবদুস সেলিম জন্ম সেপ্টেম্বর ১৯, ১৯৪৫। পেশাগত জীবনে অধ্যাপক হলেও তাঁর অনুবাদক পরিচয়টিই মুখ্য। এ পর্যন্ত পঁয়ত্রিশটি নাটক অনুবাদ করেছেন, এর মধ্যে ২৫টি নাটক বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফলভাবে মঞ্চায়িত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অনুবাদকর্মগুলোর মাঝে আছে গ্যালিলিও, হিম্মতী মা, মাঝরাতের মানুষেরা, ভেনিস সওদাগর, দ্যা মাউসট্র্যাপ, এক শ বস্তা চাল, লাভ লেটার্স, প্লেগ ইত্যাদি। তাঁর আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদকর্ম হলো Memories of War Victims: 1971 এবং আবু ইসহাক-এর কালজয়ী উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ Surza Dighal Bari. এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির ইংরেজি-বাংলা অভিধানের তৃতীয় সংস্করণের সম্পাদনা, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করেছেন। আবদুস সেলিম সফল মঞ্চনাটক অনুবাদক হিসেবে শহীদ মুনির চৌধুরী সম্মাননা ২০১০, লোক নাট্যদল স্বর্ণপদক ২০১৯, জাপানের উচিমুরা পদক, অনুবাদ সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০১৫, নাট্যকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শিল্পকলা পদক ২০২১,