- Shop
- বাংলাদেশের বিপন্ন বন
বাংলাদেশের বিপন্ন বন
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
সবুজ সৌন্দর্যে বাংলাদেশের তুলনা মেলা কঠিন। তারপরও দেশটি বন সম্পদে মোটেও সমৃদ্ধ নয়। ১৯২৭ সালে বন আইন সংস্কারের সময় বর্তমান বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে বনভূমির পরিমাণ ছিল মোট আয়তনের ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ছয় শতাংশে নেমে এসেছে। এ পরিসংখ্যানও প্রশ্নাতীত নয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুন্দরবন ছাড়া সত্যিকারের বন বলতে যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা ছিটেফোঁটা মাত্র। বনভূমির অনেক জায়গায় তৈরি করা যে কৃত্রিম বনায়ন দেখি তা যে প্রকৃত অর্থে বন নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সরকারি বনভূমিতে বৃক্ষ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আছে। তবে বিদেশী ঋণের টাকায় ও প্রায় ক্ষেত্রে বিদেশী প্রজাতি দিয়ে বনায়নের যে চেষ্টা তাতে কিছু গাছ ফলানো সম্ভব হলেও সত্যিকারের বন তৈরি হচ্ছে না। কারণ চাষ করে তো বন সৃষ্টি করা যায় না। বরং সরকারি বনভূমিতে কৃত্রিম বনায়ন করতে গিয়ে বনবিনাশের প্রক্রিয়াসমূহকেই আরো জোরদার করা হয়েছে এবং অনেক জায়গাতে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আমাদের সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহ এবং যেসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বনায়নের জন্য ঋণ, পরামর্শ ও চাপ দিচ্ছে তারা জনসংখ্যার চাপ, দারিদ্র্য, জুমচাষ, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ এসবকেই বনবিনাশের মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে। এ গ্রন্থে নানা তথ্য-উপাত্ত এবং আলোকচিত্রের পাশাপাশি কি করে দরিদ্র মানুষ ও বনবাসীর উপর অনৈতিকভাবে দোষ চাপানো হয় তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়েছেন গ্রন্থের লেখক। গত দেড় দশক ধরে তিনি বন ও বনবাসীর খুব কাছাকাছি গেছেন এবং স্বচক্ষে দেখেছেন বন ও বনবাসীর বেদনার নানা চিত্র। তাঁর দৃষ্টিতে দরিদ্র মানুষ নয়, বনবিনাশের জন্য সব থেকে বেশি দায়ি রাষ্ট্রীয় ভুল নীতি-কৌশল, উৎপাদনমুখী ও কৃত্রিম বনায়ন, বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকসমূহের চাপ ও কিছু মানুষের লোভ।
সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট
সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবাধিকার এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করে। যেসব সম্প্রদায়ের পরিবেশ এবং মানবাধিকার ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে, SEHD ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়কে তার প্রকাশনা, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, প্রশিক্ষণ এবং তৃণমূল ক্ষমতায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে একটি আওয়াজ দেয়।"
ফিলিপ ইংলিশ
ফিলিপ গেইন একজন সাংবাদিক এবং লেখক হিসাবে প্রশিক্ষিত, তবে চিত্রের প্রতি তার পূর্বনির্ভরতা এবং বন, বন-নির্ভর মানুষ এবং তাদের সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কিত সমস্যাগুলি তাকে স্থল বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। তিনি যে বিভিন্ন বন নির্ভর মানুষের সুন্দর মন, হৃদয় এবং আতিথেয়তাও মিস করেননি তা এই বইটিতে উপস্থাপিত চিত্রগুলি থেকে স্পষ্ট। ফিলিপ গেইন 1987 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন; 1989 সালে অশোক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়; 1993 সালে আলফ্রেড ফ্রেন্ডলি প্রেস ফেলোশিপ (US) প্রদান করা হয়; এবং 2002 সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএস) বিশ্ব ফেলো নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (SEHD) পরিচালনা করেন। ফিলিপ গেইন এক ডজনেরও বেশি বই লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন, বন, পরিবেশ এবং জাতিগত সম্প্রদায়ের উপর অনেক প্রতিবেদন এবং