১৮ থেকে ২০ শতক -এই তিনশ বছরের বাঙালি নারীর জীবন-সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে রচিত হয়েছে আমি নারী বইটি। এই দীর্ঘ কালপরিক্রমায় বাঙালি নারীর জীবন বাস্তবতার সকল দিককে তুলে ধরা হয়েছে এ বইতে। হাজার হাজার বছরের অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও পশ্চাৎপদতার অচলায়তন ভেঙে বাঙালি নারী কিভাবে আজ দেশের ক্ষমতার শীর্ষবিন্দুকে স্পর্শ করতে পেরেছে তার এক ধারাবাহিক বিবরণ এ বইতে পাওয়া যাবে। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ক্রমে ক্রমে বাঙালি নারীর জাগরণ ও আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভের এই ইতিহাসটি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, সাফল্য, বিপুল ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সুগভীর বেদনার কাহিনীতেও ভরপুর। সহজ হয়নি এ উত্থান। আজও তার চলার গতি মোটেই নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের নারীদের বর্তমান জীবন-পরিস্থিতিকে উপলব্ধির জন্য ইতিহাসের এই প্রেক্ষাপটটি জানা একান্তভাবে আবশ্যক।
মালেকা বেগম (জ. ১৯৪৪) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট নারী নেত্রী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স (১৯৬৫), এমএ (১৯৬৬), এবং সমাজবিজ্ঞানে এমএ (১৯৬৮) ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদিকা হিসাবে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছেন ২২ বছর। নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ হিসাবে তিনি বেইজিং বিশ্বনারী সম্মেলনের (১৯৯৫) পূর্বে ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন, সমতা ও শান্তির লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সাথে যুক্ত আছেন। মালেকা বেগম লিখছেন ষাটের দশক থেকে। তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা ১৮। ইউপিএল থেকে যুগ্ম লেখক হিসাবে তাঁর প্রকাশিত অপর গ্রন্থ আমি নারী : তিনশ বছরের (১৮-২০ শতক) বাঙালি নারীর ইতিহাস (২০০১)।