মানুষের শক্তি
https://uplbooks.com/shop/9789845064958-21923 https://uplbooks.com/web/image/product.template/21923/image_1920?unique=75367af
Tags :
Book Info
বইয়ের বিজ্ঞানবিষয়ক জনপ্রিয় বাংলা গ্রন্থের ইতিহাসে ‘মানুষের শক্তি’ বইটি একটি অনন্য স্থান অধিকার করে আছে। কাজ করবার দৈহিক শক্তি যে-কোনো জীবিত প্রাণীর জন্য বেঁচে থাকবার প্রথম ও প্রধান শর্ত। হাতিয়ার ব্যবহার বা আগুনের আবিষ্কারের মাধ্যমে আদিম মানুষ যান্ত্রিক শক্তির যে সূচনা ঘটিয়েছিল, নভোযান বা তথ্যপ্রযুক্তি তারই ধারাবাহিকতা। সহজবোধ্য বাংলায় শক্তির একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাই পাঠকদের জন্য এই গ্রন্থটিতে হাজির করেছেন অধ্যাপক জহুরুল হক। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে গবেষণা তাঁর হাত দিয়েই শুরু হয়েছিল। দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যগ্রহণ থেকে শুরু করে যান্ত্রিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য হাতিয়ারের ব্যবহার, কাজ ও শক্তির ব্যবহার, জ্বালানির উৎস, শক্তির বিভিন্ন প্রকারভেদ যে-কোনো পাঠকেরই জানা প্রয়োজন। এই বইটি মুক্তধারা থেকে ১৯৮১ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়, কিন্তু বইটির প্রাসঙ্গিকতা এখনও ফুরোয়নি। তবে শক্তির ব্যবহারের আধুনিকতম দৃষ্টান্তগুলোর সাথে পাঠকদের পরিচিত করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে শেষের পরিচ্ছেদে জ্বালানি বিষয়ে আধুনিক কিছু বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। বইটি পুনঃপ্রকাশে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করায় ড. জহুরুল হকের সরাসরি ছাত্র এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের আগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।
জহুরুল হক
জহুরুল হক জন্ম ১৯২২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজারামপুর গ্রামে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং প্রথিতযশা বিজ্ঞান-লেখক ছিলেন। জহুরুল হক ছদ্মনামে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখি করেছেন, পুরো নাম ড. এ এম জহুরুল হক। পিতার নাম মোহাম্মদ তাবারক আলি। পদার্থবিদ্যায় বিএসসি (অনার্স) করে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমএসসি এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধীনে কুইন মেরি কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ১৯৫২ সাল থেকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগে শিক্ষকতার কাজে নিবেদিতভাবে জড়িত থেকে ১৯৮৩ সালে অবসর নেন। ১৯৭০ সাল থেকে একটানা ১২ বছর বিভাগীয় প্রধানের এবং দুই দফায় (১৯৭২-৭৪, ১৯৮২-৮৩) অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে ড. রশীদ চেয়ার অলংকৃত করেছিলেন। অজস্র মৌলিক বইয়ের লেখক জহুরুল হক অনুবাদক হিসেবেও খ্যাতিমান ছিলেন, লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৯ সালে ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ এবং ১৯৯৬