- Shop
- Autobiography, Biography and Memoirs
- তিন দুয়ারের কোলে: একজন নিমার্ণশিল্পীর আত্মকথা
তিন দুয়ারের কোলে: একজন নিমার্ণশিল্পীর আত্মকথা
https://uplbooks.com/shop/9789845063166-11652 https://uplbooks.com/web/image/product.template/11652/image_1920?unique=56f7a2e
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
পাছ দুয়ারের তিনদিকে রান্নাঘর, নিরামিষ-ঘর আর ঢেঁকিঘর। বাইর দুয়ারে বিশাল উঠান। উঠানের একদিকে কাছারী-ঘর, অন্যদিকে গাভীর ঘর। আর মাঝ দুয়ারের চারপাশ ঘিরে সে-আমলের বেলজিয়াম ঢেউটিনের চারচালা চারটি ঘর, বারান্দাসহ। ছোট ছোট চারটি দোচালা শেড দিয়ে ঘরগুলোকে জুড়ে দেওয়া, যাতে বৃষ্টির সময় এক ঘর থেকে অন্য ঘরের বারান্দায় যাওয়া যায়।’’ বিংশ শতাব্দীর এক টালমাটাল সময়ে পাবনার সুজানগরের গ্রামীন গৃহস্থ পরিবারে লেখক এমনই এক তিন দুয়ারের কোলে জন্মেছেন, বড়ো হয়েছেন। এরপর বহু কাজে, বহু পথে আরও বহু দুয়ার পেরিয়েছেন; পরিচিতি পেয়েছেন আধুনিক ঢাকার সুরম্য সব স্থাপনার নির্মাণ যজ্ঞের অন্যতম কুশীলব হিসেবে। সুভাষ ঘোষ একদিকে যেমন বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদলের সাক্ষী, তেমনি তাঁর পেশাগত অভিজ্ঞতার মূল্যও অসাধারণ। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্রামীণ জীবন, শিক্ষাঙ্গন, হিন্দু-মুসলমান বৈরিতা, দাঙ্গা, দেশভাগ, পরবর্তিকালে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ’৭১ পরবর্তী পুনর্গঠন নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ গ্রন্থটিকে গভীরতর একটি মূল্য প্রদান করেছে। এই স্মৃতিকথার তাৎপর্য শুধু সেটুকুও নয়। বরং যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোড়ন ও ডামাডোলের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ গিয়েছেন, সেসবের সাপেক্ষে একজন ব্যক্তি হিসেবে তার অবস্থান, অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়ারও সুক্ষ ও খুঁটিনাটি বিবরণ গ্রন্থটিতে ব্যক্তিগত সংবেদনের আবহ প্রদান করেছে। আমরা যাকে বলি সামাজিক ইতিহাস, সেই বিচারে তিন দুয়ারের কোলে বাংলা ভাষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ সংযোজন।
সুভাষ ঘোষ
সুভাষ ঘোষ (১৯৪৩) পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা করার পর চাকরি-জীবন মাত্র পাঁচ বছরের। তারপর সুদীর্ঘ সাড়ে চার দশকের উপর নির্মাণ ব্যবসায় জড়িত। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েটেড বিল্ডার্স কর্পোরেশন লিমিটেড (এবিসি)-এর চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত। দীর্ঘ পঁচাত্তর বছরের জীবনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সাতচল্লিশের দেশভাগকালে প্রতিবেশি ও স্বজনদের দেশত্যাগ দেখেছেন খুব ছোটবেলায়। কলেজ-জীবনে নিজের চোখে দেখেছেন পাকিস্তান সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা - প্রথমে বাষট্টিতে পাবনা শহরে এবং পরে চৌষট্টিতে ঢাকা শহরে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দুঃখজনক রাজনৈতিক পালাবদলগুলোকে খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। এতোকিছুর পরও কখনও দেশত্যাগ করার কথা ভাবেননি। ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়াশুনা করালেও তাদেরকে দেশে স্থিত