- Shop
- International Relations
- সাশিয়ার গল্প
সাশিয়ার গল্প
https://uplbooks.com/shop/9840502824-10725 https://uplbooks.com/web/image/product.template/10725/image_1920?unique=56f7a2e
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
মদনজিৎ সিং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এক একক মুদ্রার নামকরণ করেন ‘সাশিয়া’। তাঁর আশা যে এই মুদ্রাটি ইউরো-র মতই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আর আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নঙ্গরসম হয়ে উঠবে। এই গল্পটিতে আছে এক তরুণের প্রাণবন্ত কর্মতৎপরতা আর উৎসাহী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দেশবিভাজনের পরবর্তী ঘটনাবলি ও ভারত-পাকিস্তানের মাঝে ভয়ঙ্কর ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্বের কারণে প্রচণ্ড মনোবেদনার কথা। ১৯৯৫ সালে মদনজিৎ সিং নুমিতা ফাউন্ডেশন (এসএফ) প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার নামকরণ তাঁর মায়ের নামে, যিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা ব্যতীত দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। তারপর অত্যন্ত আকস্মিকভাবে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হন। তাঁর পুত্র জিৎ-এর প্রতিষ্ঠিত মার্কিন সফটওয়্যার কোম্পানির স্টকের মূল্য আকাশচুম্বী হয় এবং তিনি তাঁর আশের শেয়ারগুলি বিক্রি করে ২০০০ সালে সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশন (সাফ) প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী, নন-প্রফিট, অরাজনৈতিক এবং নিরপেক্ষ যুবা আন্দোলন। এর লক্ষ্য হচ্ছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার অসুবিধাও আর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের কল্যাণ। শিক্ষামূলক কর্মসূচি এবং মানুষে মানুষে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে সাফ ঐ লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। মদনজিৎ সিং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, কোন দেশই তার পুরো জনগণকে সঙ্গে না নিয়ে অগ্রসর হতে পারে না। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সেইসব দরিদ্র কৃষিজীবী, যাঁরা দিনে এক ডলারেরও কম আয়ের উপর বেঁচে আছেন। গ্রামীণ দক্ষিণ এশিয়াতে এঁরাই হলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ। অপরদিকে, আজকের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ দুনিয়ায়, আঞ্চলিক সহযোগিতা নিতান্তই অপরিহার্য। কোন দেশের পক্ষেই এখন একা একা নিজ নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য ধরে রাখা সম্ভব নয়। সুমিত্রা ফাউন্ডেশন আর সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ আর সেটাই হল 'সাশিয়ার গল্প'-এর প্রধান উপজীব্য।
মদনজিৎ সিং
"মদনজিৎ সিং-এর জন্ম ১৯২৪ সালের ১৬ই এপ্রিল অধুনা পাকিস্তানের লাহোরে। তিনি একজন সুপরিচিত চিত্রশিল্পী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক। শিল্পকলা ও অন্যান্য বিষয়ে তাঁর অনেকগুলি বই রয়েছে। তাঁর রচিত সকল বইতে ইউনেস্কোর কর্মসূচি, নীতি ও আদর্শ গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের সময়ে মদনজিৎ সিং কারারুদ্ধ হন। ১৯৪৭ সালে তিনি সদ্য ভাগ হওয়া ভারতে চলে আসেন এবং একটি উদ্বাস্তু শিবিরে কাজ করেন। ১৯৫০ সালে ইটালীয় স্কলারশীপ লাভ করেন, ১৯৫৩ সালে ইণ্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে প্যারিসে ইউনেস্কো-তে যোগদান করার পূর্বে তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসাবে এশিয়া, সাউথ আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপে নিযুক্ত ছিলেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির জন্য তাঁর জীবনব্যাপী কর্ম-প্রয়াসের সম্মানে দ্বিবার্ষিক ‘ইউনেস্কো-মদনজিৎ সিং প্রাইজ ফর দ্য প্রোমোশন