ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের কবিতা ২০০১
https://uplbooks.com/shop/9840502581-10706 https://uplbooks.com/web/image/product.template/10706/image_1920?unique=56f7a2e
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
বাংলাদেশের সাহিত্যের ধারাবাহিক অগ্রগতি ও স্বীকৃতি দেশের সীমানা পেরিয়ে বৃহত্তর পরিমণ্ডলে সমাদৃত। সৃজনশীলতা ও মননশীলতা আমাদের সাহিত্য-সম্ভারকে প্রতিনিয়ত পুষ্ট করে চলেছে। কিন্তু সাহিত্যে আমাদের যে সামগ্রিক অর্জন তা মূল্যায়নের জন্য সাহিত্য সংকলনের ধারাবাহিক যে প্রকাশনা থাকা দরকার, বোধকরি আমাদের দেশে তার বড় অভাব। বাংলাদেশের প্রবহমান সাহিত্যধারার সেই ধারাবাহিক চিত্র ধরে রাখার তাগিদে ১৯৯৯ সাল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে: ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের কবিতা, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের ছোটগল্প, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রবন্ধ। বর্তমান সংকলনের কবিতাগুলি ২০০১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের সংবাদপত্রের সাহিত্য-সাময়িকীর পাতা, বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিকের বিশেষ সংখ্যা, সাহিত্যপত্র, লিটল ম্যাগাজিন ইত্যাদিতে প্রকাশিত কবিতা থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। কবিতা নির্বাচনকালে কোনো বিশেষ কবি - তিনি প্রবীণ কিংবা তরুণ, খ্যাত কিংবা অখ্যাত অথবা তিনি কোন্ দশকের কবি - এ সকল বিষয় নির্বাচকদের বিবেচ্য ছিল না। বিবেচ্য ছিল রচিত কবিতাটি। বিষয়বস্তু, বক্তব্য, উপস্থাপনা, কাব্যভাষা, রূপকল্প, শব্দ-ছন্দ-উপমা-উৎপ্রেক্ষা, চিত্রকল্পের নতুনত্ব ও উপলব্ধির গভীরতা - কেবল এসবই কবিতা নির্বাচনের মানদণ্ড হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এই সংকলনে বাংলাদেশের কাব্যচর্চায় প্রতিফলিত সৃজনশীলতা ও মননশীলতার সমসাময়িক রেখাচিত্র ফুটে উঠেছে। এই সংকলনে ৬১ জন কবির ৬১টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ
মহিউদ্দিন আহমেদ (জ. ১৯৪৪) সংবাদপত্রে সাংবাদিকতার মাধ্যমে তাঁর পেশাগত জীবন শুরু করেন। তিনি প্রায় ৪ বছর লাহোরের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। পরে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের পাকিস্তান শাখায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তাঁর প্রকাশনার নানাবিধ বিষয়ে ব্যাপক পেশাগত প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ হয়। তিনি স্বাধীনতার পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত হন। তিনি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত তার প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরূপে কর্মরত আছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই। তিনি দেশে ও বিদেশে পুস্তক প্রকাশনা বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করে আসছেন। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় উন্নয়ন বিষয়েও তাঁর রচিত নিবন্ধ প্রায়শ প্রকাশিত হয়। পুস্তক প্রকাশনায় বিরল অবদান রাখার জন্য তিনি ১৯৯১ সালে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন।