ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের কবিতা ১৯৯৯
https://uplbooks.com/shop/9840502298-10690 https://uplbooks.com/web/image/product.template/10690/image_1920?unique=56f7a2e
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
বাংলাদেশের সাহিত্যের ধারাবাহিক অগ্রগতি ও স্বীকৃতি দেশের সীমানা পেরিয়ে বৃহত্তর পরিমণ্ডলে সমাদৃত। সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বাংলাদেশের সাহিত্য সম্ভারকে প্রতিনিয়ত পুষ্ট করে চলেছে। সাহিত্যে আমাদের যে সামগ্রিক অর্জন তা মূল্যায়নের জন্য সাহিত্য সংকলনের ধারাবাহিক যে প্রকাশনা থাকা দরকার, বোধ করি আমাদের দেশে সে কাজটি হয়ে উঠছে না। এই অভাব বোধ থেকেই ইউপিএল-এর পক্ষ থেকে কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ – সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন শাখায় বর্ষভিত্তিক সংকলন প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানের ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের কবিতা ১৯৯৯, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের ছোটগল্প ১৯৯৯, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রবন্ধ ১৯৯৯ তারই প্রথম প্রয়াস। এই তিনটি প্রকাশনার নিবিড় পঠন-পাঠনে অনুসন্ধিৎসু পাঠকের কাছে বাংলাদেশের সাহিত্যধারার অন্তত বর্ষভিত্তিক সমসাময়িক একটি রেখাচিত্র ধরা পড়বে বলে আমাদের বিশ্বাস। সংকলনের জন্য রচনা সংগ্রহের উৎস হিসাবে বেছে নেয়া হয়েছে ১৯৯৯ সনে প্রকাশিত দেশের প্রায় সকল সংবাদপত্রের সাহিত্য সাময়িকীর পাতা, প্রায় সকল দৈনিক ও সাপ্তাহিকের বিশেষ সংখ্যা সাহিত্য পাতা ও লিটল ম্যাগাজিন। প্রতিটি বিষয়ে তিনটি পর্যায়ে তিনটি পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী প্রচুর ঝাড়াই-বাছাই করে সংকলনের জন্য রচনাগুলি নির্বাচন করেছেন। সংকলনের জন্য রচনা নির্বাচনকালে কোনো বিশেষ গল্পকার, প্রবন্ধকার অথবা কবি, তিনি প্রবীণ কিংবা নবীন, খ্যাত বা অখ্যাত অথবা তিনি কোনো দশকের – এ সকল বিষয় নির্বাচকদের বিবেচ্য ছিল না। কেবল রচনাটির বিষয়বস্তু, উপস্থাপনা, ভাষাশৈলী, প্রকরণ, নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য—এ সবই নির্বাচনের মানদণ্ড হিসাবে অনুসৃত হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে এই উদ্যোগের সূত্রপাত। তবে এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা অবশ্যই নির্ভর করবে পাঠকের কাছে এই প্রকাশনার যাথার্থ্য প্রমাণিত হলে।
মহিউদ্দিন আহমেদ
মহিউদ্দিন আহমেদ (জ. ১৯৪৪) সংবাদপত্রে সাংবাদিকতার মাধ্যমে তাঁর পেশাগত জীবন শুরু করেন। তিনি প্রায় ৪ বছর লাহোরের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। পরে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের পাকিস্তান শাখায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তাঁর প্রকাশনার নানাবিধ বিষয়ে ব্যাপক পেশাগত প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ হয়। তিনি স্বাধীনতার পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত হন। তিনি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত তার প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরূপে কর্মরত আছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই। তিনি দেশে ও বিদেশে পুস্তক প্রকাশনা বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করে আসছেন। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় উন্নয়ন বিষয়েও তাঁর রচিত নিবন্ধ প্রায়শ প্রকাশিত হয়। পুস্তক প্রকাশনায় বিরল অবদান রাখার জন্য তিনি ১৯৯১ সালে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন।