- Shop
- কাশ্মীরিয়ানা
কাশ্মীরিয়ানা
বহুত্ববাদী সুফি-ভক্তি-ঋষি সংস্কৃতি
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
কাশ্মীরিয়ানায় ভক্তি-সুফি-ঋষি সংস্কৃতির স্মরণে সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশন (সাফ) দুটি অনন্য ও স্মরণীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর একটি ছিল জুনুন ও দ্য সিংস-এর পরিবেশনায় ভারতীয়/পাকিস্তানী যৌথ মিউজিক কনসার্ট এবং অপরটি দক্ষিণ এশীয় মহিলা চিত্রকরদের চিত্রকর্মের অভূতপূর্ব প্রদর্শনী। মদনজিৎ সিং ঐ দুই ঘটনার বর্ণনা করেছেন এই বইতে। সেই সূত্রে গভীর প্রজ্ঞার সাথে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গীত ও শিল্পের মধ্যে যুগপ্রাচীন সম্পর্ক এবং কাশ্মীরিয়ানার বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ঐতিহ্যের কথা। ২৬ মে ২০০৮ তারিখে ইনস্টিটিউট অব কাশ্মীর স্টাডিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মদনজিৎ সিং তাঁর রচিত দিস মাই পিপল বইটির একটি কপি উপহার দেন। উল্লেখ্য যে ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু নিজ হাতে এর ভূমিকা লেখেন। ১৯৮৯ সালে বইটি বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হলে বইটির প্রচুর আলোচনা প্রকাশিত হয় এবং বইটি পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হয়। ফরাসী সাপ্তাহিক লা’এক্সপ্রেস-এ তিন পাতার নিবন্ধ প্রকাশ করে এবং দ্য ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন-এর প্রখ্যাত সমালোচক সুরেন মিলিকিয়ান ‘একে আলোকচিত্রের একটি আশ্চর্য বই’ এবং ‘যাকে মদনজিৎ অত্যন্ত ভালবাসেন সেই ভারতকে মানসিকভাবে ভ্রমণের বৃত্তান্ত’ বলে মন্তব্য করেন। ইসমাইল মার্চেন্ট বইটির নান্দনিক যোগ্যতা এবং ঐতিহাসিক মূল্য নিয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস্-এ একটি পূর্ণপৃষ্ঠার আলোচনা করেন।
মদনজিৎ সিং
"মদনজিৎ সিং-এর জন্ম ১৯২৪ সালের ১৬ই এপ্রিল অধুনা পাকিস্তানের লাহোরে। তিনি একজন সুপরিচিত চিত্রশিল্পী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক। শিল্পকলা ও অন্যান্য বিষয়ে তাঁর অনেকগুলি বই রয়েছে। তাঁর রচিত সকল বইতে ইউনেস্কোর কর্মসূচি, নীতি ও আদর্শ গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের সময়ে মদনজিৎ সিং কারারুদ্ধ হন। ১৯৪৭ সালে তিনি সদ্য ভাগ হওয়া ভারতে চলে আসেন এবং একটি উদ্বাস্তু শিবিরে কাজ করেন। ১৯৫০ সালে ইটালীয় স্কলারশীপ লাভ করেন, ১৯৫৩ সালে ইণ্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে প্যারিসে ইউনেস্কো-তে যোগদান করার পূর্বে তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসাবে এশিয়া, সাউথ আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপে নিযুক্ত ছিলেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির জন্য তাঁর জীবনব্যাপী কর্ম-প্রয়াসের সম্মানে দ্বিবার্ষিক ‘ইউনেস্কো-মদনজিৎ সিং প্রাইজ ফর দ্য প্রোমোশন