‘সমাজবিজ্ঞানের আধুনিক এবং উত্তর-আধুনিক তত্ত্ব’ সম্পর্কে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেবে এই গ্রন্থটি। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময়ের ওপর ভিত্তি করে এই বইটির প্রাথমিক সূচিপত্র তৈরি করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী, তরুণ গবেষক ও বিদ্যার্থীরা বিশেষকরে উপকৃত হবেন।
মোট চব্বিশজন গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিকের চিন্তাকে এ পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাদের নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাদান করা হয় কিংবা গবেষণা ও ‘ক্রিটিক্যাল থিংকিং’-এর সক্ষমতার জন্য জরুরি বলে বিবেচনা করা হয়, মূলত তাদের চিন্তার সারাৎসারই এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
‘আধুনিকতাবাদ ও উত্তর-আধুনিকতাবাদের তত্ত্ব’ বইটি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, তাত্ত্বিক, সমাজবিজ্ঞানী ও সাধারণ পাঠকের সামাজিক ও একাডেমিক পাঠে সহায়তা করবে। শুধু সমাজবিজ্ঞান, দর্শন ও নৃবিজ্ঞান নয়; অর্থনীতি, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা, প্রকৌশল, সাহিত্য ও আইনের মতো বিষয়গুলো যারা অধ্যয়ন করছেন, তাদেরও অজস্র কৌতূহল ও প্রয়োজন এটি মেটাবে। এর বাইরেও যে-কোনো কৌতূহলী পাঠক বইটি থেকে চিন্তার খোরাক পাবেন।
খুরশিদ আলম বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী। সমাজ, রাজনীতি ও উন্নয়ন বিষয়ক তাত্ত্বিক চর্চায় নিয়োজিত রয়েছেন। ১৯৮৫ সালে ভারতের পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পিএইচডির বিষয়: Agrarian Social Structure and Class Relations in Comilla District (Bangladesh)। স্বল্প সময়ের জন্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নসহ (পিআরএসপি-২) বিভিন্ন জাতীয় নীতিমালা ও কর্মকৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসের সাউথ এশিয়া ব্লগসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখছেন। তিনটি বিদেশি বিশ্বব্যিালয়ের পিএইচডি থিসিস পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন, এছাড়া তিনি একটি আন্তর্জাতিক জার্নালের সম্পাদনা পরিষদের সহস্যসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা জার্নালের নিয়মিত প্রবন্ধ পরীক্ষক। দেশে ও বিদেশে মিলে