মাসদার হোসেন মামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা। বিচার বিভাগের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং বিচার বিভাগের পৃথক্করণ বিষয়ে এ মামলায় সুপ্রিমকোর্ট যুগান্তকারী একটি রায় দিয়েছিলেন। সরকার ও জনপ্রশাসনের সাথে বিচার বিভাগের সম্পর্ক কী হওয়া উচিত, তার একটি রূপরেখা ঐতিহাসিক রায়টিতে প্রদান করা হয়েছিল।
বর্তমান গ্রন্থটি রায়টির একটি বাংলা অনুবাদ। কৌতূহলী পাঠকের জন্য মূল ইংরেজি রায়টিও এখানে রয়েছে; এ ছাড়া রয়েছে বিচার বিভাগের পৃথক্করণ প্রসঙ্গটি কেন গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিষয়েও একটি সম্যক আলোচনা। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের ইতিহাস নিয়ে একটি আলোচনাও পাঠক এখানে পাবেন। এ ছাড়াও এ রায়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিচারপতিবৃন্দ যে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেগুলোর মাঝে কোন-কোনটি কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, তা নিয়েও একটি পর্যবেক্ষণ এ গ্রন্থে রয়েছে।
বিচার বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকেই এ গ্রন্থটি থেকে উপকৃত হবেন। তা ছাড়া, আইনকে যাঁরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাপেক্ষে বোঝার চেষ্টা করেন, এমন সরকারি কর্মকর্তা, নীতি নির্ধারক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরও বইটি কাজে আসবে। রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহী প্রতিটি মানুষই এ গ্রন্থের প্রতিটি পাতায় অজস্র চিন্তার খোরাক পাবেন।
মিল্লাত হোসেন জন্ম, ১৯৭৮। পেশাগতভাবে একজন জজ (যুগগ্ম জেলা ও দায়রা জজ); বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেন্স অফিসার হিসেবে কর্মরত। আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থাকার সময়েই চট্টগ্রামে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ নামক একটি দৈনিকে সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এ কিছুদিন চাকরি করার পর ঢাকা ও সিলেটের দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিলেও অল্প কিছুদিন পর তা ত্যাগ করে বিচার বিভাগে থিতু হন। দর্শনের সহকারী অধ্যাপক স্ত্রী তাসমীম হোসাইন আর দুই পুত্র ফারসিম নভো হোসেন ও ফারদিম ফারাজ হোসেনকে নিয়েই তাঁর পারিবারিক জীবন। অনুবাদ, সম্পাদনা ও লেখালেখির সাথে মিল্লাত হোসেনের যুক্ততা বরাবরই ছিল। সতী ও স্বতন্তরা নামের নারীবাদী লেখার সংকলনের ১ম ও ২য় খণ্ডের