- Shop
- শিক্ষকতায় শ্রেষ্ঠত্বের সাধনা পুরস্কারজয়ী প্রধানশিক্ষকের স্মৃতিকথা
শিক্ষকতায় শ্রেষ্ঠত্বের সাধনা পুরস্কারজয়ী প্রধানশিক্ষকের স্মৃতিকথা
https://uplbooks.com/shop/9789845064484-11689 https://uplbooks.com/web/image/product.template/11689/image_1920?unique=56f7a2e
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
কঠিন জীবনসংগ্রাম, শিক্ষা ও কর্মজীবন শেষে দারিদ্র্যপীড়িত পটভূমিতে বেড়ে ওঠা একজন সাধারণ মানুষ জালাল উদ্দীন আহমদের ‘পাকিস্তানের সেরা প্রধান শিক্ষক’ হিসেবে রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পাওয়ার একটি মহাকাব্যিক আখ্যান এই আত্মজীবনী। পুরস্কারটি প্রবর্তিত হওয়ার প্রথম বছরেই তিনি এই মর্যাদা অর্জন করেন। এই আত্মজীবনীতে তিনি স্মরণ করেছেন কীভাবে বৃত্তি পেয়ে ও অন্য মানুষের বাসায় জায়গির (গৃহশিক্ষক) থেকে তিনি স্কুল পর্যায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন, এবং বৃত্তি ও নিকটজনদের কাছ থেকে নেওয়া ধারের টাকায় উচ্চশিক্ষার অন্বেষণ করেছিলেন। পেশাগত জীবনেও তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়েছে, যখন ক্ষমতাবানেরা তাদের অনুকূলে তাঁকে বিদ্যালয়ের নিয়ম ভাঙতে বলেছিল। প্রধানত বাংলাদেশের দরিদ্র ছাত্রদের শিক্ষিত করার জন্যই তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন আহমদ বইটিতে আরও আলোচনা করেছেন কীভাবে ও কীসের ভিত্তিতে তিনি তাঁর শিক্ষণ-দর্শনের চর্চা করতেন, যা তাঁর ছাত্রদের করেছিল দেশের সেরা, এবং তাঁকে এনে দিয়েছিল জাতীয় স্বীকৃতি।
জালাল উদ্দীন আহমদ
জালাল উদ্দীন আহমদ জন্ম ১৯০৮ সালে, ফেনী জেলায়। ব্রিটিশ শাসনামলে তিনি ছিলেন তাঁর গ্রাম জগৎপুরের প্রথম স্নাতক। ১৯৩০-এর দশকের শেষ দিকে তিনি দাগনভূঞার আতাতুর্ক হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকের সূচনা পর্যন্ত এখানেই জালাল উদ্দীন আহমদ তাঁর পেশাগত জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় কাটিয়েছেন, স্কুলটিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন, আর এমন সব শিক্ষার্থী লালন ও প্রতিপালন করেছেন যারা শিক্ষা-দীক্ষা ও ক্রীড়াক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। পেশাগত জীবনের দ্বিতীয়ার্ধে ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তিনি ক্লান্তিহীনভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফেনী হাইস্কুলকে পূর্ববঙ্গের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ফেনী (সরকারি) পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজে, তাঁর বিদ্যালয় ও ছাত্ররা জাতীয় পর্যায়ে অসংখ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।