ইসরায়েলের পুত্রগণ: ইহুদি জনগোষ্ঠীর ৪০০০ বছরের ইতিহাস সম্ভবত ইহুদি জাতি নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। পাশ্চাত্য ও ইসলামের ইতিহাসে ইহুদিদের অবস্থানের গুরুত্ব এবং সমসাময়িক বিশ্বের বহু ক্ষেত্রে তাদের দৃশ্যমান অথবা অদৃশ্য নিয়ামকের ভূমিকা ‘ইহুদি’ শব্দটির চারিদিকে রহস্যের জাল সৃষ্টি করেছে। ইহুদিদের ঐশী গ্রন্থ তৌরিদ-এ ইহুদিগণকে ঈশ্বরের মনোনীত জাতি, অনুগ্রহপ্রাপ্ত জাতি, পবিত্র জাতি, বিশ্বের পুরোহিত জাতি ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে। খ্রিস্টান—চার্চের অনুশাসন, ধর্মীয় রচনা ও সাহিত্যে ও ইসলামী ঐতিহ্যে তাদেরকে অভিশপ্ত, নির্দয় সুদখোর, বান্ধবহীন ঘৃণিত জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইতিহাসজুড়ে অজস্র নির্যাতন, বিতাড়ন ও গণহত্যার শিকার হয়েও একটি জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি হিসেবে তারা টিকে রয়েছে।
ইহুদি জাতির চার হাজার বছরের ইতিহাস ও উপাখ্যান, বিচিত্র ধর্মীয় আচার-আচরণ, সংঘাত ও বিদ্রোহ, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম গণহত্যার ধ্বংসস্তুপ থেকে পুনরুত্থান এবং তাদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণতম অর্জন ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা— এ সবই এই গ্রন্থের উপজীব্য। পাশাপাশি সমসাময়িক বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, অর্থনীতি, অর্থব্যবস্থা, রাজনীতি, প্রচার-মাধ্যম, বিনোদন ও সমর-শক্তিতে তাদের ঈর্ষণীয় অবস্থানের প্রেক্ষাপট বোধগম্য করে তুলে ধরা হয়েছে।
এম ইদ্রিস আলী (জন্ম ১৯৪৫) পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসে ১৯৭০ সালে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের একজন সচিবরূপে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি ৯ম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে সমসাময়িক ইতিহাসে এম.এ. ও ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস-এ এম.এস. ডিগ্রি অর্জন করেন। ইসরায়েলের পুত্রগণ: ইহুদি জনগোষ্ঠীর ৪০০০ বছরের ইতিহাস তার প্রথম গ্রন্থ।