- Shop
- Development
- বিশ গেরামের গল্প
বিশ গেরামের গল্প
https://uplbooks.com/shop/9789845062114-11646 https://uplbooks.com/web/image/product.template/11646/image_1920?unique=56f7a2e
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
বিশ গেরামের গল্প বইটির মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহুস্তর-বিশিষ্ট দৈব নমুনা চয়নের ভিত্তিতে বাছাইকৃত ২০টি গ্রামের চার দশকব্যাপী ঘটে যাওয়া আর্থ-সামাজিক রূপান্তর উপস্থাপন করা। সম্পূর্ণভাবে মানুষের নিজস্ব চিন্তাভাবনা বা অনুভূতিকে নির্ভর করে গ্রাম রূপান্তরের এই গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে। গল্প তৈরিতে নির্দিষ্ট ছকে বাঁধা কোনো প্রশ্নমালা ছিল না। বেছে নেওয়া হয়েছে এক নবধারামূলক পদ্ধতি বাড়ির উঠোনে বসে, চায়ের স্টলে আড্ডা দিয়ে কিংবা ক্ষেতের আইল ধরে হাঁটতে হাঁটতে জানতে চাওয়া হয়েছে রূপান্তর নিয়ে মানুষের বক্তব্য। তবে প্রতিটি গল্পের শেষে গ্রামের ওপর কিছু মৌলিক পরিসংখ্যান সংযোজন করা হয়েছে। এই সমস্ত পরিসংখ্যান বা পরিমাণগত উপাত্ত প্রধানত তাদের জন্য যারা উলিয়াম পেটির পথ ধরে মনে করেন যে, শব্দের চেয়ে সংখ্যার গুরুত্ব বেশি কিংবা পরিসংখ্যান ব্যতীত অর্থনীতির আলোচনা অর্থহীন। যাই হোক, গল্পে উঠে আসা এই গ্রামের মানুষের অনুভূতি থেকে মনে হবে ঘটে যাওয়া রূপান্তর যেন সিনেমা বা নাটকের দৃশ্য-নায়ক-নায়িকা ও ভিলেনের ভূমিকা যেমন আছে তেমনি আছে সিকোয়েন্স ও সাসপেন্স সম্বলিত অ্যাকশন । গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন যে, গ্রাম রূপান্তরের পেছনে মোটা দাগে অবদান রেখেছে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও এনজিও। এসবের কারণে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রজনন হার কমেছে ও খামার ব্যবস্থাপনার উন্নতি হয়েছে। অধিকাংশ মানুষের ধারণা তাঁরা আগের চেয়ে 'ভালো' ও 'সুখী' আছেন; 'ওলড্ ইজ গোল্ড' এমন ভাবনা কারও মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। মানুষের কাছ থেকে শোনা গ্রামভিত্তিক গল্পগুলো অনেকটা ছোট গল্পের মতো – ‘শেষ হয়ে হইল না শেষ’। শেষ হবার কথাও নয়: উন্নয়ন প্রক্রিয়া বহমান বিধায় গল্পও শেষ হয় না। আশা করি বইটি সর্বশ্রেণির পাঠকের মন জয় করতে সক্ষম হবে।
আব্দুল বায়েস
প্রফেসর আব্দুল বায়েস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বি.এ. (অনার্স) ও এম.এ. ডিগ্রীলাভের পর অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইংল্যান্ড থেকে তিনি উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। এ পর্যন্ত তাঁর ১২টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু - গ্রামীণ অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, দারিদ্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুদ্র ঋণ, ইত্যাদি ।
মাহবুব হোসেন
ড. মাহবুব হোসেন বর্তমানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালকের উপদেষ্টা। এর আগে তিনি ফিলিপিনসে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (ইরি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ছিলেন। ২০১৪-২০১৭ সময়কালের জন্য তিনি এশিয়ার কৃষিবিদ সমাজ সমিতির সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ. এবং কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি ডিগ্রীপ্রাপ্ত হন। তাঁর গবেষণার বিষয় দারিদ্র্য, গ্রামীণ শিল্প, ক্ষুদ্র ঋণ, কৃষি উন্নয়ন বিশেষত কৃষিতে প্রযুক্তির উন্নয়নের দিক, ইত্যাদি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০-এর অধিক।