- Shop
- Political Science
- গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামরিক শাসন
গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামরিক শাসন
Language: Bangla |
Tags :
Book Info
বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্র বিকশিত হতে না পারার প্রধান কারণ হলো, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একদলীয় শাসন কায়েম এবং পরবর্তীকালে দেশের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ। এ দেশের প্রথম বিশ বছরের মধ্যে পনের বছরই দুজন সামরিক প্রধানের অধীনে দেশ পরিচালিত হয়, যেখানে উভয়ের মধ্যে যেমন ছিল সাদৃশ্য তেমনি ছিল বৈসাদৃশ্যও। জিয়া এবং এরশাদের সময় সাংবিধানিক শাসন, লোক প্রশাসন এবং আদালতের প্রচলিত বিচারব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং রাজনীতিতে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়। কোনো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাঁরা সামরিক আইন বা ডিক্রীর মাধ্যমে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁরা দেশ শাসনে রাজনীতিবিদদের চাইতে আমলাদের উপর বেশী নির্ভর করেছেন। তখন রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের হাত থেকে আমলা ও টেকনোক্র্যাটদের কাছে চলে যায়। ফলে সামগ্রিক শাসনব্যবস্থার চরিত্র ও রূপ বদলে যায় এবং দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়। বইটি বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান মওদুদ আহমদ কর্তৃক রচিত একটি অনন্য গ্রন্থ। উল্লেখ্য যে, দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি উল্লিখিত দুই সরকারেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থেকে মূল্যবান ভূমিকা পালন করেন। সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে সামরিক শাসকরা কীভাবে দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উপাদানসমূহকে বিনষ্ট করে। এই গ্রন্থে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই বইতে লেখক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি চমৎকার চালচিত্র তুলে ধরেছেন। এটা শুভ দিক যে, বাংলাদেশ পুনরায় গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। যদিও এই বিষয়টি এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে এই বইয়ে লিপিবদ্ধ ঘটনা এবং ইস্যুসমূহ বাংলাদেশ ও তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের যাত্রাকে ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।