- Shop
- বুনো
বুনো
Language: Bangla |
Book Info
'বুনো' বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে ১৯৯১ সালের আদমশুমারিতে। তবে তাদের প্রকৃত পরিচয়, সংখ্যা, বসবাসের এলাকা, ইত্যাদি নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এদের সংখ্যা ৭,৪২১ এবং বসবাস কেবল নওগাঁ জেলাতে। তবে এদের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি এবং এরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন যশোর, ফরিদপুর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, মানিকগঞ্জ- এসব জেলায় । 'বুনো' শব্দটি আরোপিত বা বলা চলে চাপিয়ে দেয়া। কারণ 'বুনো' বলে যারা পরিচিত তারা এক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নন। এদের মধ্যে আছেন ওরাওঁ, ভূঁইয়া, মুন্ডারী পাহান, কুর্মি, মাহাতো, লোহার বা কর্মকার, মুন্ডা, সান্তাল, মাহলী, বাগিদ, ভূমিজ ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। বোঝাই যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ যখন তাদের মূল গোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা তাদের বুনো, বুনা, বানুয়া বা সর্দার এসব পরিচয়ে চিনছে। 'বুনো' শব্দটির অন্তরালে যেসব মানুষ তাদের অবশ্য এ পরিচয় নিয়ে বিশেষ কোনো অভিযোগ নেই যদিও বাংলা ভাষায় এ শব্দটি সম্মানজনক নয়। এ শব্দটির আড়ালে তাদের আসল জাতিগত পরিচয় যে আবছা হয়ে গেছে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই । বুনোদের নিয়ে সঠিক তথ্য-উপাত্ত এক জায়গায় করা নিঃসন্দেহে কঠিন। 'বুনো' জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই এ ছোট গবেষণা গ্রন্থ। তাদের সংখ্যা, পেশা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সম্পত্তির মালিকানা, জীবন-যাপন, সমাজ ও সংস্কৃতি, ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশিত হয়েছে এ গ্রন্থে।
ফিলিপ ইংলিশ
ফিলিপ গেইন একজন সাংবাদিক এবং লেখক হিসাবে প্রশিক্ষিত, তবে চিত্রের প্রতি তার পূর্বনির্ভরতা এবং বন, বন-নির্ভর মানুষ এবং তাদের সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কিত সমস্যাগুলি তাকে স্থল বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। তিনি যে বিভিন্ন বন নির্ভর মানুষের সুন্দর মন, হৃদয় এবং আতিথেয়তাও মিস করেননি তা এই বইটিতে উপস্থাপিত চিত্রগুলি থেকে স্পষ্ট। ফিলিপ গেইন 1987 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন; 1989 সালে অশোক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়; 1993 সালে আলফ্রেড ফ্রেন্ডলি প্রেস ফেলোশিপ (US) প্রদান করা হয়; এবং 2002 সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএস) বিশ্ব ফেলো নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (SEHD) পরিচালনা করেন। ফিলিপ গেইন এক ডজনেরও বেশি বই লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন, বন, পরিবেশ এবং জাতিগত সম্প্রদায়ের উপর অনেক প্রতিবেদন এবং