
আমেরিকান ঔপন্যাসিক মার্ক টোয়েনের জোড়া উপন্যাস এডভেঞ্চারস্ অব টম সয়্যার (১৮৭৬) এবং এডভেঞ্চারস্ অব হাকলবেরি ফিন (১৮৮৪) পৃথিবীব্যাপী ক্লাসিক রচনা হিসাবে সমাদৃত। এই বইটি তাঁর শেষোক্ত বইটির রূপান্তর। মার্ক টোয়েনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাঁর গল্প বলার এবং খুঁটিনাটিকে প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরার অসাধারণ ক্ষমতা। উপরোক্ত দুটো বইতে তাঁর নিজের শৈশব ধরা পড়েছে বলেও তা হয়ে উঠেছে অত্যন্ত আন্তরিক। তাঁর বাল্য জীবনের বন্ধু ছিল টম ব্ল্যাংকেনশিপ। তাঁর বাবা ছিলেন পাঁড় মাতাল। তিনি টমকে দেখাশুনা করতেন না যেমনটি একজন বাবার করা দরকার। এই বইয়ের প্রধান চরিত্র হাকলবেরি ফিন হচ্ছে তাঁর সেই বন্ধু টম।
ফ্রাংকেনস্টাইনের মতো পৃথিবীব্যাপী পরিচিত ও জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। ১৯২৮ সালে মেরী শেলী এই উপন্যাসটি রচনা করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত ইংরেজ লেখিকা, দার্শনিক ও নারী অধিকারের সমর্থক মেরী ওলস্টোনক্রাফটের কন্যা এবং ইংরেজ কবি পি বি শেলীর স্ত্রী। মেরী শেলী স্বামী এবং স্বামীর বন্ধু লর্ড বায়রনের উৎসাহে তিনি এটি রচনা করেন।
কোনো কোনো বই একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে পারা যায় না। বিজ্ঞানের রাজ্যে আরও প্রশ্ন সে রকমই একটি বই। কারণ, বিজ্ঞানের খুব সাধারণ বিষয়ের মধ্যেও যে অসাধারণ কিছু জানার আছে, তা এ বইটি না পড়লে আপনি জানতেই পারতেন না। আমরা তো সবাই জানি সূর্যগ্রহণ কেন হয়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এত ছোট চাঁদ কিভাবে সূর্যকে গ্রাস করে? অথবা কোনো দিন কি জিনপ্রযুক্তি ব্যাবহার করে কৃত্রিম রক্ত তৈরি করা যাবে? এখনো কি নতুন নতুন জন্ম নেয়? ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরে কেন? অথবা মেয়েদের প্রসাধনী হিসাবে ঠোঁটে লিপস্টিক দিনে কতবার ব্যাবহার করা নিরাপদ? সন্তান জন্মদানের সময় মাতৃমৃত্যু রোধের সহজ উপায় কি?
আপনি একুশে বইমেলায় গেছেন। ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ মোবাইলে কল এল, কিন্ত চারপাশের গোলমালের জন্য কোনো কথাই শুনতে পাচ্ছেন না। কী করবেন? ভিড়ের মধ্যে তো আপনি বন্ধুদের সঙ্গে মোটামুটি কথা বলতে পারেন, কিন্ত মোবাইলে পারেন না। কেন? অথবা আমরা তো সব সময় শুনি বিগব্যাংয়ের কথা। সেই মুহূর্তটি কেমন ছিল, তা কি জানা সম্ভব? অথবা ধরুন, ডায়নোসর বিলুপ্ত হয়ে গেল, পুঁচকে তেলাপোকা কীভাবে ২৫ কোটি বছর ধরে টিকে আছে? তা হলে কী করতে হবে আপনাকে? এসব নানা বইয়ে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে এই বইয়ে। আপনি অনায়সে বইটি আপনার বাসায় রাখতে পারেন। উৎসাহ নিয়ে পড়ার মতো একটি বই।