Crowded and disordered, the city of Dhaka, routinely deals out unexpected blows, setbacks, and isolation as well as success and epiphany to its denizens, some of whom populate this collection of nine stories. The city comes of age over the course of these tales, from its sleepy start as a provincial capital to the great, dysfunctional megalopolis it is today. So, too, the ages of the city are mirrored by the characters of these stories who face youthful challenges to love and ambition as well as more mature pressures and disappointments.
বাংলাদেশের সাহিত্যের ধারাবাহিক অগ্রগতি ও স্বীকৃতি দেশের সীমানা পেরিয়ে বৃহত্তর পরিমণ্ডলে সমাদৃত। সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বাংলাদেশের সাহিত্য সম্ভারকে প্রতিনিয়ত পুষ্ট করে চলেছে। সাহিত্যে আমাদের যে সামগ্রিক অর্জন তা মূল্যায়নের জন্য সাহিত্য সংকলনের ধারাবাহিক যে প্রকাশনা থাকা দরকার, বোধ করি আমাদের দেশে সে কাজটি হয়ে উঠছে না। এই অভাব বোধ থেকেই ইউপিএল-এর পক্ষ থেকে কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ জ্জ সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন শাখায় বর্ষভিত্তিক সংকলন প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানের ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের কবিতা ১৯৯৯, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের ছোটগল্প ১৯৯৯, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রব
বাংলাদেশের সাহিত্যের ধারাবাহিক অগ্রগতি ও দেশের সীমানা পেরিয়ে বৃহত্তর পরিমণ্ডলে সমাদৃত। সৃজনশীলতা ও মননশীলতা আমাদের সাহিত্য-সম্ভারকে প্রতিনিয়ত পুষ্ট করে চলেছে। সাহিত্যে আমাদের যে সামগ্রিক অর্জন তা মূল্যায়নের জন্য সাহিত্য সংকলনের ধারাবাহিক যে প্রকাশনা থাকা দরকার, বোধ করি আমাদের দেশে সে কাজটি হয়ে উঠছে না। এই অভাববোধ থেকেই ইউপিএল-এর পক্ষ থেকে কবিতা,ছোটগল্প ও প্রবন্ধ – সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন শাখায় বর্ষভিত্তিক সংকলন প্রকাশের উদ্যোগ নেয়। প্রকাশনাগুলি হল: ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের কবিতা, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের ছোটগল্প, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রবন্ধ। এই সংকলনের ছোটগল্
ইউপিএল সাহিত্য সংগ্রহ ২০০২ ইউপিএল কর্তৃক ৩ খণ্ডে প্রকাশিত বার্ষিক সংকলন ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের কবিতা, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের ছোটগল্প ও ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রবন্ধ-এর ধারাবাহিক প্রকাশনা যা একখণ্ডে প্রকাশিত হলো সংকলনটি ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী, লিটল্ ম্যাগাজিন, অনিয়মিত সংকলনে প্রকাশিত রচনা থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে ১১টি প্রবন্ধ, ১৫টি ছোটগল্প ও ৬৪টি কবিতা সংকলিত হয়েছে। বাংলাদেশের সাহিত্যের অগ্রগতি ও স্বীকৃতি এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বৃহত্তর পরিমণ্ডলে সমাদৃত। সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বাংলাদেশের সাহিত্য সম্ভারকে প্রতিনিয়ত পুষ্ট করে চলেছে। সাহিত্যে আমাদের
এই বার্ষিক সাহিত্য সংকলনটি পূর্বের ধারাবাহিকতার অংশ। এর পূর্ববর্তী প্রকাশনা হিসাবে গত বছর ইউপিএল সাহিত্য সংগ্রহ ২০০২ প্রকাশিত হয়েছে। তারও পূর্বে ১৯৯৯ সাল থেকে ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের কবিতা, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের ছোটগল্প, ইউপিএল নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রবন্ধ নামে তিনখণ্ডে এই সংকলনটি প্রকাশিত হয়ে আসছিল। এবারের এই সংকলনটিতে ২০০৩ সালের বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী, লিটল্ ম্যাগাজিন, অনিয়মিত সংকলনে প্রকাশিত রচনা থেকে একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৩টি প্রবন্ধ, ২০টি ছোটগল্প ও ৭৭টি কবিতা সংকলিত হয়েছে। এ কথা সর্বজনবিদিত যে, বাংলাদেশের সাহিত্যের অগ্রগতি ও এখন দেশের
জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত অতিপ্রজ নন, সহজপাঠ্য নন, গল্পবাজ নন। এই নিন্দাকণ্টক তাঁর ক্ষেত্রে ফুল হয়ে ফোটে যিনি জানেন এবং সে-রসিকজনই বারংবার তাঁর গল্পের কাছে গিয়ে আসঙ্গ করেন। জ্যোতি বৈষ্ণব হলে বলা যেত, 'নেহা' কি 'পিরিতি'র কারণে, কিন্তু চারিত্র্যে তো জ্যোতিপ্রকাশ শাক্ত। তাঁর সংকেতময় প্রতীকী গদ্যভাষার কঠিন বর্ম দাবি করে রসিকচিত্তের মেধা, শ্রম ও কাব্যপিপাসা। আসলে জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ভিন্ন মানে বোঝেন 'গল্প'র। কাহিনীকথকের বিপরীত মেরুতে তাঁর অবস্থান, যেন সিঙ্গারের উল্টো প্রান্তে। আইজ্যাক বিসভিচ সিঙ্গার মনে করেন গাল্পিকের দায়িত্ব একমাত্র, বিকল্পরহিত, গল্প তৈরি করা পাঠক তা বুঝে নিক
মৃত্যুঞ্জয়ের সপ্তম জন্ম হুমায়ূন মালিকের প্রথম গল্পগ্রন্থ। বাংলা ছোটগল্পের ঐতিহ্যের সঙ্গে বিশ্বের অগ্রসর ধারার সম্পৃক্তির এক সমৃদ্ধ ফসল এই গ্রন্থের গল্পগুলি। মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক ভণ্ডামী ও পরিবেশে প্রযুক্তির চাপ ও পারমাণবিক আধিপত্যের প্রতিযোগিতায় মানবকুল বিনাশী আয়োজন, সামপ্রদায়িকতায় উন্মূল মানুষ, স্বার্থপরতা-সন্ত্রাসে বিপন্ন মানবতা, সামাজিক বৈষম্য, বাজার অর্থনীতির দৌরাত্ম্য, অবক্ষয়, ক্লেদ ইত্যাদি তাঁর গল্পের অন্তর্গত বিষয় হয়ে এক স্বতন্ত্র শৈল্পিক সফলতায় উত্তীর্ণ হয়েছে। পরাবাস্তবতা, জাদুবাস্তবতা, প্রতীকময়তা, রূপক, লক্ষ্যভেদী শব্দ, এক গল্পে অজস্র গল্প সংস্থাপন করে এপিকের মাত্রা যো
মাহবুব তালুকদার বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কথাসাহিত্যিক, ছোটগল্প ও উপন্যাসের এক পারঙ্গম লেখক। নরনারীর জীবনের পারস্পরিক সম্পর্কের জটিল গ্রন্থি উন্মোচন তাঁর ছোটগল্পের মূল উপজীব্য। কাহিনীর নিটোল অবয়ব আর পরিশীলিত বর্ণনারীতি পাঠককে নিয়ে যায় মনোলোকের কোন গভীর গোপন প্রকোষ্ঠে, যেখানে অন্তরপ্রবাহের বিচিত্র চিত্রণ সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। আপন আয়নায় মুখ রেখে তাঁর গল্পের চরিত্রগুলো যার যা ভূমিকা ব্যক্ত করে এবং সংবেদনশীল মননের আড়ালে লেখক থাকেন নির্লিপ্ত ও নিস্পৃহ। মাহবুব তালুকদারের ছোটগল্প আলোছায়াময় বহুবর্ণ প্রতিকৃতি অবলোকনের অনুপম আস্বাদন। লেখকের কথাশিল্পের সমৃদ্ধ কারুকাজ ও তাঁর অনন্য বুনোটের
জগতের সমস্ত ঘটনা ও সম্পর্কের মূলে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। এটাই গল্পকার মশিউল আলমের প্রধান বিষয়। এর আগে, দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘মাংসের কারবার’-এ তিনি এঁকেছিলেন এক বিভীষিকাময় সংসারের ছবি, যে বিভীষিকায় নিমজ্জিত আজকের বাংলাদেশ। বর্তমান গ্রন্থের গল্পগুলো যেন বলতে চায় মশিউল আলম বিভীষিকার জগৎ থেকে বেরোতে চাইছেন। ১০টি গল্প নিয়ে ‘আবেদালির মৃত্যুর পর’ লেখকের তৃতীয় গল্পগ্রন্থ। এই গল্পগুলো পাঠে মশিউল আলমের মনযোগী পাঠক টের পাবেন জীবন-ভাবনায়, গল্পনির্মাণে ও ভাষা ব্যবহারে লেখক আরো পরিশীলিত, আরো পরিপক্ক হয়ে উঠেছেন।
ব্যক্তি জীবনের, বিশেষত মধ্যবিত্তের নানাবিধ বোধ ও অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে রচিত অসংখ্য সৃজন-বৈচিত্র্যে বাংলা ছোটগল্পের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু যে ব্যক্তি আবহমান গ্রাম বাংলার আধারে, মাটির সাথে মিলেমিশে জড়িয়ে থাকে সমষ্টির সঙ্গে এবং টিকে থাকার সংগ্রামে ক্ষুধা ও ক্ষোভে দেশকালের খাঁচায় আবর্তিত হয়ে ওঠে যে সমষ্টিগত জীবন, বাংলা ছোটগল্পে তার মর্মস্পর্শী প্রতিফলন ঘটিয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন এ কালের বিশিষ্ট গল্পকার মঞ্জু সরকার। ১৯৮২-তে প্রথম গল্পগ্রন্থ অবিনাশী আয়োজন প্রকাশের মধ্য দিয়ে চিহ্নিত করেছেন নিজের যাত্রাপথ ও সাহিত্যিক-অঙ্গীকার। এরপর একে একে প্রকাশিত হয়েছে লেখকের ছয়টি গল্পগ্রন্থ। এসব বই