উন্নয়নশীল দেশসমূহের শ্রমবাজারের প্রকৃতি ও কাঠামো উন্নত দেশের তুলনায় ভিন্ন। এই ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে বর্তমান গ্রন্থের মূল কাঠামো। এই কাঠামোকে ঘিরে যেসব বিষয় আলোচনায় এসেছে তাদের মধ্যে রয়েছে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে কর্মসংস্থানের ভূমিকা, দ্বৈত অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানের কাঠামোগত পরিবর্তন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কেন সব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের জন্য যথেষ্ট নয়, যুবকদের বেকারত্বের হার কেন বেশি, অনানুষ্ঠানিক খাতে কেন বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং সে ধরনের কাজের বৈশিষ্ট্য কী, ইত্যাদি। নীতিমালার ক্ষেত্রে একদিকে যেমন সামষ্টিক নীতিমালার আলোচনা রয়েছে, অন্যদিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ কর্মসূচীর ভূমিকা। এসব বিষয় আলোচনায় প্রাসঙ্গিক তত্ত্বের সাথে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করা হয়েছে। আর শেষ অধ্যায়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের দিকে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সম্পর্কে উৎসাহী সাধারণ পাঠক, উন্নয়ন কর্মী, নীতি নির্ধারক, গবেষক, এবং ছাত্র-শিক্ষক সকলের কাছেই গ্রন্থটি সমাদৃত হবে বলে আমরা মনে করি।
সূচিপত্র:
১. কর্মসংস্থান, বেকারত্ব এবং প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব: ধারণা ও পরিমাপ / ২. কর্মসংস্থান কেন গুরুত্বপূর্ণ? অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দরিদ্রমুখী প্রবৃদ্ধিতে কর্মসংস্থানের ভূমিকা / ৩. দ্বৈত অর্থনীতিতে শ্রমবাজার: কর্মসংস্থানের কাঠামোগত পরিবর্তন / ৪. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ / ৫. যুব কর্মসংস্থান / ৬. মানবপুঁজি, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান / ৭. অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান / ৮. প্রত্যক্ষ কর্মসূচীর মাধ্যমে কর্মসংস্থান / ৯. সামাজিক নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান / ১০. সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালা ও কর্মসংস্থান / ১১. কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন?